ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

চকরিয়ায় জায়গা জবর দখলে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপি মেম্বারের অস্ত্রবাজি

mail.google.comএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জায়গা জবরদখলের জন্য প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষের ওপর মহড়া দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম নামের এক ইউপি মেম্বার। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা পুচ্ছালিয়া পাড়া এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে সড়কে ঘটেছে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁিচয়ে হামলার ঘটনা। অভিযুক্ত ওই ইউপি মেম্বার বিএমচর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে জায়গা জবর দখলের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের লোকজন পাল্টা-পাল্টি গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। ঘটনার সময় দখলবাজদের হামলায় আহত হয়েছেন বিএমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও স্থানীয় মৃত সোলতান আহমদের ছেলে নুরুল কাদের , আবদু শুক্কুরের ছেলে ছোটনসহ ৫জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত পক্ষের লোকজন জানান, হামলায় অবৈধ অস্ত্রহাতে নেতৃত্ব দেন পরিষদের মেম্বার রফিকুল ইসলাম মেম্বারসহ অন্তত ২০-২৫জন ভাড়াটে দুর্বৃত্ত। আহতদের স্বজনরা দাবি করেন, স্থানীয় শামসুল আলম গংয়ের সাথে একই এলাকার আক্তার কামাল গংয়ের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে শামসুল আলম গং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কক্সবাজার আদালতে একটি দায়ের করেন। ওই মামলায় ২৮ আগষ্ট শুনানী শেষে প্রতিপক্ষ গংয়ের বিরুদ্ধে জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আহতদের স্বজনদের অভিযোগ, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে রফিক সহ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে এ হামলার ঘটনাটি সংগঠিত করেছে।

জানতে চাইলে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি (এসআই) মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশদল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। তবে পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁেছ তখন সময়ে অস্ত্র হাতে কাউকে দেয়া যায়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে এব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: